বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর

ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপিং কনটেন্ট রাইটিং এসব কাজের চাহিদা বর্তমানে বেশি মার্কেটপ্লেসে খুব চাহিদা রয়েছে।


        


বর্তমানে পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে খুব তাড়াতাড়ি ইনকাম  করা যায়। বর্তমানে দেশের চাকরির বাজার খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেজন্য ফ্রিল্যান্সিং এর উপর নির্ভর করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে কি কি প্রয়োজন তা জেনে নিনঃ


ফোন ও পিসির কনফিগারেশনঃ

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে ভালো মানের ফোন ও পিসির প্রয়োজন হয়, নাহলে  কাজ করে ভালো লাগেনা ফোন ও পিসির ক্ষেত্রে বেশি র‍্যাম ও স্টোরেজ না থাকলে ডিভাইস হ্যাং হয়ে যায়, তাই ফোনের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ৬ জিবি র‍্যাম থাকা প্রয়োজন, ল্যাপটপ বা পিসির ক্ষেত্রে ৮ জিবি র‍্যাম থাকা প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক ভারি ভারি সফটওয়্যার, বিভিন্ন ধরনের ভারী সফটওয়্যার এর কাজগুলো করার জন্য এই র্যামের প্রয়োজন, ফোন পিসির কনফিগারেশন ভালো না হলে কাজ করতে অস্বস্তি বোধ মনে হয় তাই এসব কনফিগারেশন দেখে ফোন ও পিসি কেনা উচিত।

কোন স্ক্রিল শিখলে আমার জন্য ভালো হবেঃ

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য যেকোনো একটি স্ক্রিনশিপে কাজ করতে পারলে আপনার কাজ দেখে মার্কেটপ্লেসে অনেক কোম্পানি বা বিভিন্ন বায়াররা আপনাকে কাজ দেবে, সেজন্য ফ্রিল্যান্সিং এ স্ক্রিল ডেভেলপ করে আপনার কাজ শিখতে হবে এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং গ্রাফিক ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এসব কাজের চাহিদা বর্তমানে প্রচুর রয়েছে। তাই আপনি এগুলোর মধ্যে যে কোন একটি সেক্টর বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য দক্ষতা তৈরি করাঃ

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা থাকতে হবে, এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য দক্ষতা হলোঃ ডিভাইস বিষয়ক দক্ষতা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার দক্ষতা, বিভিন্ন রকমের টাইপিং বিভিন্ন অ্যাপ  সম্পর্কে ও ইংরেজি বিষয়ে কিছু দক্ষতা থাকা লাগবে। এসব দক্ষতা আপনার থাকলে ফ্রিল্যান্সিং এ যে কোন কাজ আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। প্রত্যেক কাজের ওই কিছু না কিছু দক্ষতা থাকা লাগে।

বর্তমানে কোন সেক্টরের কাজে চাহিদা বেশিঃ

ফ্রিল্যান্সিং এর বর্তমান কিছু কিছু সেক্টরে এখন মার্কেটপ্লেসে কাজের চাহিদা অনেক রয়েছে, এই সমস্ত কাজ শিখে আপনি ভালো পর্যায়ে যেতে পারবেন, এদের মধ্যে অন্যতম কিছু কিছু সেক্টর হলঃ ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাই্‌ ভিডিও এডিটি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এ সমস্ত কাজ ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে দক্ষ হয়ে কাজ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারঃ

পড়াশোনার পাশাপাশি একজন ভালো গানের ফ্রিল্যান্সার হতে পারলে মাসে অনেক বেতনের চাকরি করা যায়। যা বর্তমানে দেশের বাজারে চাকরির চেয়ে খুব অল্প সময়ে ইনকাম শুরু করা যায়, বর্তমানে চাকরির বাজার পড়ালেখা শেষ করে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই আপনি পড়ালেখার ফাঁকে কোন একটা কোন একটা কাজ শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সাধারণ জ্ঞান

কোর্স শেষ হতে সাথে কতদিন লাগেঃ

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শেষ করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রকমের কোর্সের মেয়াদ দিয়ে থাকেন, কেউ তিন মাস বা আরো বেশি আপনার কাজের ধরন ও দক্ষতা অনুযায়ী আপনার একটু কম সময় লাগতে পারে। আপনার বেসিক কোন গাইডলাইন জানা থাকলে অন্যদের তুলনায় আপনার সময় কম লাগতে পারে তাই নিজেকে যথেষ্ট ধৈর্য সহকারে সেই কাজের প্রতি মনোযোগ হয়ে নির্দিষ্ট গাইড লাইন মেনে নিয়মিত সময় অনুযায়ী কাজ করা।

ফ্রিল্যান্সারের মাসিক বেতন কত হয়ে থাকেঃ

বর্তমানে একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক বেতন কত হয়ে থাকে তা বলতে গেলে তার কাজের ধরণ অনুযায়ী তার মাসিক বেতন আসে সে ভালো কোন কাজ জানলে অন্যদের তুলনাই তার বেতন বেশি আসতে পারে,একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক বেতন কমপক্ষে ২০-৩০ হাজার এর ভিতর হয়ে থাকে যা বর্তমানে  চাকরির বাজারে খুব কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধাঃ  ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা যার মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই ইনকাম শুরু করতে পারে। যা অন্যান্য পেশাগুলোতে এত সুযোগ সুবিধা নেই ঘরে বসেই এসব পেশা নিয়ে কাজ করলে নির্দিষ্ট সময় দিলে তা থেকে ইনকাম শুরু করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং পেশা নিয়ে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন নিজের মতো করে স্বাধীনতা পাবেন। যা অন্যান্য পেশা আপনাকে এতটা স্বাধীনতা দিবে না। তাই আপনি ফ্রিল্যান্সিং পেশা নিয়ে কাজ করতে পারেন।


           

ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় সেক্টর গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলোঃ


ডিজিটাল মার্কেটিংঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করা যেমনঃ facebook ,youtube,instagram, google ইত্যাদি।বর্তমানে সকল ব্যবসা ও অনলাইন ওয়েবসাইট ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। মার্কেটিং নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ইনকাম শুরু হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অনেক সেক্টর রয়েছে একজন ভালো ডিজিটাল মার্কেটার ভালো কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে সক্ষম হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ

গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টরে বিভিন্ন রকমের ডিজাইন লোগো ও নিজের ক্রিয়েটিভিতে থাকা লাগে।   বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন তৈরি ব্যানার পোস্টার ডিজাইন  জন্য এই সেক্টরের চাহিদা মার্কেট প্রাইস এর খুব বেশি রয়েছে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইটের লিংক তৈরি করা এবং কাস্টমাইজ করা বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট ও লিংক তৈরি করে ডেভেলপমেন্টের কাজ একজন ওয়েব ডেভলপার এর মার্কেটপ্লেস এর খুব চাহিদা রয়েছে।

কন্টেন্ট রাইটিংঃ

কন্টেন রাইটিং হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্লক পোস্ট আর্টিকেল রাইটিং এই সেক্টরে একটা ব্লক একাউন্ট খুলে বিভিন্ন রকমের কনটেন্ট পোস্ট করে ইনকাম শুরু করা যায়। বিভিন্ন কোম্পানি কন্টেন্ট রাইটার্সদের উপর নির্ভরশীল।

ভিডিও এডিটিংঃ

বর্তমানে ভিডিও এডিটিং বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন তৈরি ও বিভিন্ন নাটক সিনেমা বিভিন্ন মডেল তৈরির জন্য ভিডিও এডিটিং সেক্টরটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সব জায়গাতেই এখনো ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা বেশি।

3D অ্যানিমেশনঃ

3D অ্যানিমেশন হচ্ছে কার্টুন গেম সিনেমা ও বিভিন্ন রকমের টার ব্যবহার করে অ্যানিমেশনে রূপান্তর করা, অ্যানিমেশন ব্যবহার করে বিভিন্ন চরিত্র ও বস্তুগুলোকে নিজের মত করে নড়াচড়া করা নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করেন তখন তা দেখতে অনেক ভালো লাগে ও জনপ্রিয় হয়ে। বর্তমানে এসব কাজের চাহিদা মার্কেট প্লেসে অনেক রয়েছে।

ডাটা এন্ট্রিঃ

ডাটা এন্ট্রি কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির ডাটাবেজ সংগ্রহ করে স্প্রেডশিডে ও ওয়ার্কশিটে তথ্য যাচাই-বাছাই করে ভালোভাবে প্রোগ্রামিং করে তা অন্যদের সামনে উপস্থাপন করা। ডাটা এন্ট্রির ও মার্কেটপ্লেসে খুব চাহিদা রয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তাঃ

সাইবার নিরাপত্তা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের প্রোগ্রামিং নিরাপত্তা দেওয়া এআই মেশিন ও বিভিন্ন ধরনের লার্নিং এর প্রযুক্তি কত কাজ করে সাইবারে নিরাপত্তা দেওয়া এই সেক্টরটি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

উপসংহারঃ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস আর ড্রিম ৬৬

comment url